ওভেন ডাইং প্রজেক্ট এর কষ্ট টাইম ম্যানপাওয়ার সেইভ করার কিছু টিপসঃ

১. প্রথমত আমাদের ব্লিচ মেশিন এবং মার্সারাইজ মেশিন কম্বাইন্ড মেশিন থাকা যাবে না এতে প্রডাকশন নষ্ট হতে পারে। তাই ব্লিচ মার্সারাইজ মেশিন আলাদাভাবে থাকতে হবে।

২. মার্সারাইজ মেশিন  এর মার্সারাইজ চেম্বার এর পর ওয়াস বাথ এডিশনাল নিউট্রাল বাথ সহ ৬ চেম্বার বিশিষ্ট হতে হবে যাতে ফেব্রিক টি ওয়াস হয়ে যায় যাতে পরে একে ওয়াস মেশিনে ওয়াস করা না লাগে ।

৩. মার্সারাইজ  ব্লিচ করার পর যে পরিমাণ রেসিডুলিউয়াল কাস্টিক থেকে যায় তা হিসেব করলে দেখা যায় এর পরিমান ৭-১০ বুম যা যদি আমরা ড্রেইন করে দেই এটা আমাদের টোটাল ওয়েস্টেজ এবং একে নিউট্রাল করতে বাড়তি এসিড এর দরকার ETP প্লান্টে ।  তাই একে কাস্টিক রিকোভারি প্লাট এর মাধ্যমে রেসিডিউয়াল কাস্টিক পিউরিফাই করে তাকে ভার্জিন ক্যামিকেল এর সাথে মিক্স করে আবার চাহিদা অনুযায়ী ২৫, ২৮,৪৫ বুম করে নেয়া যাবে এটা বিশাল কস্ট সেইভিং।  আনুমানিক হিসেব অনুযায়ী কাস্টিকের কেজি ৮০-৯০ টাকা আর ৩৫ বুমের কাস্টিক হলে লিটারে ৩৫০ গ্রাম সলিড কাস্টিক লাগবে অর্থাৎ প্রতি তিন লিটারে এক কেজি আনুমানিক।

৪. সিপিবি এর ডাইজ প্রিপারেশন ট্যাংক মিনিমাম ৪-৫ টি থাকা উচিৎ যেনো তা কালার গুলিয়ে এর রেপিড ভালো করে ওকে করা যায়, অনেক ফেক্টরির ক্ষত্রে দেখা যায় মাত্র ২ টা ট্যাংক থাকে যার কারনে হুড়মুড় করে ডাইং করা লাগে যার ফলে ডাইং ভালো করে হয়ে সারে না ।  ডাইং ট্যাংক বিভিন্ন ক্যাপাসিটির দরকার যেমন ২০০০ লিটার ১৫০০ লিটার ১০০০ লিটার করে। বড় লট ডাইং এর ক্ষত্রে ডাবল লট কালার বানানো লাগে না । মিনিমাম দুটা ক্যামিকেল ট্যাংক লাগবে।

৫. টপিং করা লাগে ওটা ওভেন ডাইং এর জন্য ধ্রুব সত্য  তাই আপনি রেড ইয়োলো ব্লু তিন পিগমেন্ট স্টেন্টারের কাছেই রেখে দিতে পারেন  এতে অনেক সময় বেচে যাবে স্টোরে দৌড়াতে ।  মিজারমেন্ট স্কেল সাথেই থাকতে হবে।

৬. ফ্লোরে একটা সুইং অপারেটর ওভেন ডাইং ফ্লোরের ক্ষত্রে ফরজ কারন এতে অনেক ভারি ফেব্রিক তাই নিডেল ভাংগা সহ অনেক প্রবলেম হয় যা মেশিনের লোকজন অনেক সময় নেট সুইং মেইন্টেনেন্স অপারেটর থাকলে সে দ্রুত ঠিক করে দেয়।

৭. দুই শিফটে দুজন কালার মাস্টার থাকা উচিৎ এরা টপিং রেপিড দেখে দিলে আপনি পিও দিয়ে শিফট চালাতে ও অসুবিধা হবে না ।

৮. রেপিড দেখার সময় ৩০ মিনিটে নামিয়ে আনতে হবে এতে ডাইং এর টাইম অনেক সেইভ হয় অনেক ফেক্টরি রেপিড দেখতে ১ ঘন্টা সময় নেয় এতে টাইম ওয়েস্ট অনেক বেশি হয় ।

৯. ফ্লোর কোয়ালিটি অনেক বড় ফেক্ট  ফ্লোর ভালো হলে খুব সহজে ১-২ জনে ব্যাচার মুভমেন্ট করাতে পারে, অনেক ফেক্টরির ফ্লোর ভাংগা থাকে।

১০. স্টেনটারে মিনিমাম ৩-৪ টা প্রিপারেশন যেনো একটার ভেতরে সফেনার কন্টিনিউয়াস সফেনার গুলিয়ে রাখা যায় বাকি গুলিতে টপিং এর জন্য কালার , অনেক ফেক্টরির দেখা যায় ট্যাংক ২ টা থাকে তাও আবার কম ক্যাপাসিটির যার ফলে বারে বারে কালার ক্যামিকেল বানানো লাগে । এতে লট বাই লট সেডের ভেরিয়েশন হয় ।

১১. স্টেনটার মেশিন সহ সব মেশিনে যে বক্স ( J Box )  থাকা মাস্ট এতে  অনেক লস টাইম মিনিমাইজ সম্ভব ।

১২. সেড ফিনিশিং এর ডিসিশনের জন্য আফটার ডাইং ওয়াস স্যাম্পল মিনিমাম ৩ টা কাটা উচিৎ  এতে পরে আর থান নামিয়ে সেড দেখা লাগে না এতে টাইম অনেক সেইভ হয়।

১৩. ল্যাব প্রডাকশন একযায়গায়  থাকা উচিৎ তাহলে  ম্যাচিং ল্যাবডিপ গুলি খুব দ্রুত পাওয়া সম্ভব ।

১৪. ওভেন ডাইং তিন শিফট থাকা উচিৎ তিন শিফটে লস টাইম কম হবে । এটা,দিয়ে আপনি সাপ্তাহে সাত খোলা রাখতে পারবেন।

১৫. ফ্লোরে মিনিমাম দুটা স্টেনটার থাকা উচিৎ এতে একটাতে স্ট্রেচিং, হিট সেটিং বাকিটাতে ফিনিশিং চলতে থাকবে।

১৬. চিলার বসাতে হবে যাতে সিপিবি মেশিন কে সেন্ট্রাল কুলিং করা যায় গ্লাস রুমের মাধ্যমে , চিলার দিয়ে ডাই সলিউশন কে কুলিং করা গেলে ইউরিয়ার ইউজের পরিমাণ অনেক কমে যাবে ।


১৭. ওভেন মেশিন গুলির জন্য  বাইপাস এর জন্য মেশিন ক্লিনের জন্য মিনিমাম দুটা ওয়েস্টেজ এর বর্ডার বা ট্যাপ থাকতে হবে এতে ।  এতে  মেশিন স্টপ থাকবে না ।

১৮. ফ্লোরে কিছু এক্সপেয়ার আইটেম সব সময় বাড়তি রাখতে হবে যার জন্য টাইম লস হবে না আইটেম গুলি হচ্ছে নিডেল, বেল্ট, পুলি, ব্যাচার টানার হ্যান্ডেল ।  এগুলি ল্যাংকিংস এর কারনে অনেক টাইম অপচয় হয় ।

১৯. ম্যাকানিকাল ডিপার্টমেন্ট খুবি স্ট্রং হতে হবে যাতে মেশিন ইমার্জিন্সিতে ঠিক করা যেতে পারে।মেশিন এক কথা স্টপ হতেই পারবে না ।

২০. অডিট ডিপার্টমেন্ট থাকতে হবে স্টোরে প্রতি লট কালার রিকুইজিশন দিলে তাদের ফেব্রিক কোয়ানটিট দিয়ে ভাগ করে ক্যামিকেল কস্টিং আর ডাইং চার্জ বের করতে হবে এতে ওয়েস্টেজের প্রবনতা কমে যাবে।